লোহাগাড়ায় উপজেলাজুড়ে বইছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। এদিকে, আসন্ন পুটিবিলা ইউপিতে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে নৌকার মাঝি হতে চান আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক। সে লক্ষ্যে এলাকায় নীরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এ যুবক নেতা। তাঁকে নিয়ে প্রচারনায় সরব হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজগুলিও। এসব প্রচারণায় ইতিবাচক সাড়া মেলেছে সর্বমহলে। তাই এই যুবক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে ইউনিয়নের সকল সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের নালারকুল গ্রামের মরহুম ডা. ছিদ্দিক আহমদের পুত্র। তার মরহুম পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়াও তার পিতা লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মাতা সামশুন্নাহার চৌধুরী একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক গ্র্যাজুয়েশন (এম.এ) সম্পন্ন করেছেন। পেশায় তিনি একজন সফল মৎস্য ব্যবসায়ী। মৎস্য খামারী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক অর্জন করেছেন।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণের সুবাদে শৈশব থেকেই সংগ্রামী চেতনার সুমহান উত্তরাধিকার বহন করছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুল জীবন থেকেই, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক। লিখাপড়ার পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলেন তিনি। মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকপুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তারপর পুটিবিলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সাতকানিয়া সরকারী কলেজে অধ্যয়নকালে, কলেজ ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তারপর চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের শ্রেণি প্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে, তিনি লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক পুটিবিলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। বর্তমানে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক পুটিবিলা হামিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার গভণিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাছাড়াও তিনি পুটিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, হযরত শাহ্ জালাল (রঃ) কিন্ডারগার্ডেন এন্ড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, পুটিবিলা শিশু-কিশোর বিদ্যানিকেতনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, লোহাগাড়া সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, পুটিবিলা শাহ মজিদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে সফতার সহিত দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোপূর্বেও তিনি পুটিবিলা যৌতুক ও মাদক বিরোধী সম্মিলিত সচেতন নাগরিক ঐক্য পরিষদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ্ লোহাগাড়া উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পুটিবিলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক কো-অপ্ট: সদস্য ছিলেন বলেও জানা গেছে। আওয়ামী লীগ রাজনীতির দুর্দিনে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনসহ নানান আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ সারিতে থেকে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক ।
দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি এলাকায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেঅংশ নিচ্ছেন সম্যকভাবে। ফলে, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়েছে এ যুবক নেতার।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এবার নৌকার মাঝি হিসেবে মানিক উপযুক্ত তাই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে, এলাকার আওয়ামী লীগের, সাধারণ কর্মীরা দাবি করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
পুটিবিলা এম.চর হাটস্থ মোহাম্মদিয়া হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমানে পুটিবিলা ইউনিয়নে নেতৃত্বের শুন্যতা বিরাজ করছিল। কিন্তু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক আসায় সেই শুন্যতা নেই, আমরা ওনাকেই নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান লোক ভালো। তবুও, মানুষ নতুন করে ভাবছে, এবং সেই নতুন টা হলেন মানিক।
স্থানীয় মাস্টার ইছহাক, আমির আহমদ, আবুল কাশেম, শাহজান ও জসিম বলেন, সামাজিক কাজে, মানুষের বিপদ-আপদে ও রাত-বিরাতে যে কোন সময় মানিককে পাওয়া যায়। এছাড়াও তিনি এই করোনা মহামারীতে এলাকায় সর্বত্রই অসহায় পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা তাকেই এবার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
এ ব্যাপারে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। দলের সুসময়-দুঃসময়ে পাশে থেকেছি। রাজপথের পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আগামী নির্বাচনে আমাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করতে কাজ করছে ওই ইউনিয়নের বিশিষ্টজনেরা। করোনা মহামারীতে এলাকায় এমপির নির্দেশে আমি অত্র ইউনিয়নসহ উপজেলার সর্বত্রই অসহায় পরিবারের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি, আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দিতে এবং নির্বাচিত করতে তরুণ প্রজন্মের যুবক মাঠে কাজ করছে, পুটিবিলা ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের দাবি একটাই পরিবর্তন। আশা করি দলে সেটি মূল্যায়িত হবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় নিশ্চিত করে পুটিবিলা ইউনিয়নকে একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে লোহাগাড়া উপজেলা গঠিত। পূর্বে, লোহাগাড়া সদর , আমিরাবাদ ও আধুনগর এই ৩টি ইউপি’র নির্বাচন হয়ে গেছে। বাকী রয়েছে ৬টি ইউপি’র নির্বাচন। এগুলো হলো- চুনতি, পুটিবিলা, কলাউজান, পদুয়া, চরম্বা ও বড়হাতিয়া ইউনিয়ন।
Leave a Reply