হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লোহাগাড়ার কলাউজান নাজির খাঁ দিঘীর মাছ প্রকাশ্যে ও গোপনে লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার ১৩ ব্যক্তির নাম করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া সার্কেল বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মাওলানা আবদুস সবুর। তিনি জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দফায় দফায় আমাদের দিঘী থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়েছেন।
জানা যায়, গত ৮ বছর যাবৎ উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নে রসূলাবাদ, হাজীর পাড়া এলাকায় নাজির খাঁ দিঘীর মালিক ইশরাত জাহান সিদ্দিকার নিকট থেকে চুক্তিভিত্তিক বর্গা নেন প্রতিবেশি আবদুস সবুর। তিনি দিঘীতে দীর্ঘদিন যাবৎ মৎস্য চাষ করে আসছেন। প্রতিপক্ষরা দিঘীর পাশে বসবাসের সুবাদে দিঘীর মালিক ও বর্গা চাষিদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি ও বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
এর প্রতিকার চেয়ে নাজির খাঁ দিঘীর মালিক ইশরাত জাহান সিদ্দিকা বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার আদেশে বিবাদীর কোনভাবে ঝামেলা না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল কুদ্দুস, নুরুল আমিন, শফিউল আজম, শেখ আহমদ, নুরুল আমিন ওরফে কালা বদো, ফুরুখ আহমদ ওরফে ফুরুইক্কা, জাহেদ, ইদ্রিস, হোসেন, এহসান, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী ওরফে আইল্যা, পেঠান, কামাল উদ্দীন সংঘবদ্ধ হয়ে দিনে দুপুরে ও রাতের আঁধারে বড় জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ লুট করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী আবদুস সবুর।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুস বলেন, দিঘীটি সরকারি খাস জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এবং পার্শ্ববর্তী লোকজন নিয়মিত ব্যবহার করে আসছে। তার জন্য আমরা তা দখলমুক্ত করতে চেষ্টা করছি।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এই দিঘী নিয়ে অনেকদিন যাবৎ মামলা-মোকদ্দমা চলছে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থানায় রুজু আছে।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, দিঘীর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply