লোহাগাড়া উপজেলায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উপজেলার চুনতি ইউয়িনের দক্ষিণ পানত্রিশা এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে ও এক সন্তানের জনক বলে জানান লোহাগাড়া পুলিশ।
এ ব্যাপারে সোমবার রাত ৯টায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে লোহাগাড়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমের ছোট বোনের খেলার সাথী ওই স্কুলছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী তার বাড়িতে ছোট বোনের সাথে খেলতে যায়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম ওই ছাত্রীকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার শয়নকক্ষে ডেকে নেয়। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। ফলে, সে এতোদিন বিষয়টি কাউকে জানায়নি। একপর্যায়ে গত শুক্রবার ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণে বিষয়টি নিরুপায় হয়ে তার মাকে জানায়। এরপর তিনি মেয়েকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে চাইলে ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাধা দেয়।
একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় গত ৮ নভেম্বর সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে, ওই ছাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওইদিনই চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেন। বর্তমানেও চমেক হাসপাতালে ওই ছাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
এ সময় লোহাগাড়া থানার ওসি জাকির হোসাইন মাহমুদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান, স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় ৯ নভেম্বর ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জাহাঙ্গীর আলম একসময় সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন। বিগত কিছুদিন পূর্বে দেশে আসার পর কখনো সিএনজি চালিত অটোরিকশা, আবার কখনো মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালান। টেকনাফ থেকে বিয়ে করার সুবাদে সেখান থেকে বিভিন্ন সময় ইয়াবা এনে বিক্রি করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। তার ইয়াবা ব্যবসায় কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানি করতো।
Leave a Reply