চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৬ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কলাউজান, চরম্বা, পদুয়া ও চুনতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন এবং চরম্বা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ইতোপূর্বে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বড়হাতিয়া ও পুটিবিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চরম্বা ইউনিয়নে মাওলানা মো. হেলাল উদ্দীন (আনারস প্রতীক) ৫২৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. শাহাদাত উল্লাহ (মোটরসাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ৩৪৭৪ ভোট।
কলাউজান ইউনিয়নে আবদুল ওয়াহেদ (নৌকা প্রতীক) ৮১৭৫ ভোট পেয়ে ৪র্থ বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ এয়াছিন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৬৮১৫ ভোট। চুনতি ইউনিয়নে জয়নুল আবদীন জনু (নৌকা প্রতীক) ১২৪৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নূর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ৩০৩৯ ভোট। পদুয়া ইউনিয়নে মো. হারুনুর রশিদ (নৌকা প্রতীক) ৭৫১৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আকতার কামাল পারভেজ (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৬০১০ ভোট।
অন্যদিকে, ভোট চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদেরকে মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং জোর করে ব্যালটে সীল মারাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়।
পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আকতার কামাল পারভেজ (আনারস) বলেছেন, ভোট ডাকাতির কারণে তিনি পরাজিত হয়েছেন। একই অভিযোগ চুনতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দি নূর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ ও কলাউজান ইউনিয়নে নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোহাম্মদ এয়াছিন সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেছেন।
Leave a Reply