দেশে অবাধে বনের গাছপালা উজাড় হওয়ায় বন্যপ্রাণী আজ হুমকির মুখে। এতে জলবায়ু যেমন বৈরী হচ্ছে তেমনি বন্য প্রাণী ও জীবের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশ হচ্ছে প্রতিকূল। গাছপালা কেটে বন ধ্বংস করায় বন্যপ্রাণী আবাসস্থল হারাচ্ছে। একই সাথে চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়ে লোকালয়ে চলে আসছে। তখন মানুষ তাদের হত্যা করছে।
বন্যহাতি আর মানুষের মধ্যে চলছে দ্বন্ধ। কারণ, হাতির জায়গা দখল করছে মানুষ এ দ্বন্ধের কারণে বিলুপ্তির পথে বন্যহাতি। এ অবস্থায় সবুজ বন রক্ষায় হাতি সংরক্ষণ প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
গতকাল ১২ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১টায় লোহাগাড়ায় বিশ্ব হাতি দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলাচনা সভায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহজাহান সভাপতিত্ব করেছেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম. ইব্রাহিম কবির ও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। ডকুমেন্টারী বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দিপাস্বীতা ভট্টাচায্য। বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া সহকারী বন সংরক্ষক একেএম আজহারুল ইসলাম, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ও বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া। আলোচনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমর্কর্তা নূরজাহান। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত এ এ আলোচনা সভার সঞ্চালনায় ছিলেন চুনতি অভায়ণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোছাইন। আলোচনা সভা ও র্যালিতে চুনতি অভয়ারণ্য প্রকল্পেনর কমর্কর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টরাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভার পূর্বে এক র্যালি বের করা হয় লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে। র্যালিটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
Leave a Reply