প্রায় দুই মাস ধরে সমগ্র লোহাগাড়া উপজেলার শিক্ষাঙ্গনে, শিক্ষানুরাগী সচেতন মহলসহ সবস্তরের জনগণের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্যাহর পরিকল্পনা ও আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ইউএনও মেধাবী ছাত্রছাত্রী অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতা’ ও ‘মভ টেস্ট’। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলে এই প্রতিযোগিতা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত উৎসবমুখর ও চমৎকার প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে প্রতিযোগিতার প্রতিটি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর একই দিনে দুটি প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্ব শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দুটি প্রতিযোগিতায় ৪১ শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন, যারা ইউএনওর পক্ষ থেকে শিগগির বিশেষ পুরস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ইউএনও মেধাবী ছাত্রছাত্রী অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রতিযোগিতায় ২১ জন (মেধা কোটায় ৮ জন, ইউনিয়ন কোটায় ১০ জন ও মাদরাসা কোটায় ৩ জন) এবং ‘মভ টেস্টে’ ২০ জন (ষষ্ঠ থেকে দশম স্কুল কোটায় প্রতি ক্লাসে তিনজন করে ১৫ জন এবং মাদরাসা কোটায় প্রতি ক্লাসে ১ জন করে ৫ জন) শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ‘মাস্টার অব ভোকাবুলারি’ বা ‘মভ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন। ইউএনও মেধাবী ছাত্রছাত্রী অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রতিযোগিতায় ২১ জন মনোনীত মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ নম্বরের (দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ মিলিয়ে) মূল্যায়নে ৫৮.৫ নম্বর পেয়ে মেধা কোটায় ১ম স্থান অধিকার করেছে দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলাম বারী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিম আহসান সিয়াম। ‘মভ টেস্টে’ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ২০ জন মনোনীত মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ নম্বরের (দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব মিলিয়ে) মূল্যায়নে সর্বোচ্চ ৬৫ নম্বর পেয়ে উপজেলায় সবার মধ্যে সেরা দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলাম বারী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিকা মেহজাবীন আলম। ইউএনও শরীফ উল্যাহ তার এই প্রতিযোগিতাগুলোকে সবার কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কয়েকটি পর্বে ভাগ করে চূড়ান্তভাবে সেরাদের মনোনীত করেছেন।শিক্ষাবান্ধব এই ইউএনও লোহাগাড়া উপজেলায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে উপজেলাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে এখন সার্বিক শিক্ষাকার্যক্রমে গতি আসছে এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এখন পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে।
ইউএনও শরীফ উল্যাহ জানান, সকলের আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও পরিশ্রমের ফলে অত্যন্ত সুন্দরভাবে দু’টি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা শেষ করে চূড়ান্ত ফলাফল যথাসময়ে প্রকাশ করতে পেরেছি। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে ফলাফল চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারা প্রকৃত মেধাবী তাঁরাই চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তাঁদের প্রত্যেকের জন্য শুভকামনা রইলো। আমি বিশ্বাস করি, এসব কার্যক্রমে লোহাগাড়ায় শিক্ষার মানোন্নয়ন তরান্বিত হবে। ইনশাআল্লাহ্।
Leave a Reply