চট্টগ্রামে ৪০০ ইটভাটার মধ্যে ৩৩০টিই অবৈধ। মাত্র ৭০টির বৈধ কাগজপত্র আছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন থাকলেও তোয়াক্কা করছেন না কোনো মালিক। ধ্বংস করা হচ্ছে ফসলি জমি। কাঠ পুড়িয়ে উজাড় করা হচ্ছে বন। অবশেষে হাইকোর্টের এক আদেশে শুরু হয় ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান। এরই ধারাবাহিকায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়াও অবৈধ ৪টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া, চুনতি ও লোহাগাড়া সদরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় এসব ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযানে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দরবেশ হাট এলাকার পুর্ব পার্শ্বে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর মালিকানাধীন এসবি ডব্লিউ ব্রিকস, বড়হাতিয়া কুমিরাঘোনা বায়তুশ শরফ সংলগ্ন মনজুর আলম কোম্পানীর মালিকানাধীন একেবি ব্রিক ও বড়হাতিয়া মালপুকুরিয়া এলাকায় নুরুল আলম প্রকাশ নুরু সওদাগরের মালিকানাধীন এমবিএম ব্রিকস এবং চুনতি ইউনিয়নের বনপুকুর পাড় এলাকায় ইয়াছিন মাঝির মালিকানাধীন সিবিএম ইটভাটায় পুণরায় ইট ভাটা প্রস্তুত করায় মোট ৪টি ইটভাটায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত হওয়ার কারণে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জাহান আকতার সাথী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোঃ শেখ মুজাহিদ।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশনের লোহাগাড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার রাহুল দেব নাথ, র্যাব-৭ এর মোঃ রায়হান, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের বিপুল সংখ্যক সদস্য অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জাহান আকতার সাথী জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply