দক্ষিণ চট্টগ্রাম বন বিভাগের চুনতি ফরেষ্ট রেঞ্জের অধীন সাতগড় বনবিট এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি গাছ অবৈধভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে শতবর্ষী মাদারট্রিও রয়েছে বলে জানান স্থানীরা। লোকজনদের মতে সাতগড় রেসাইঙ্গা ঘোনা এলাকা থেকে সম্প্রতি এসব গাছ কাটা হয়েছে। আবুল হোসেন নামে জনৈক অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে এসব গাছ কেটেছে। অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেয়ায় আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে বন্য পশু-পাখি। সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। কেটে ফেলা গাছের নিচের অংশ মোথা আগুন দ্বারা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে সহজেই বুঝা না যায়।
এই ব্যাপারে সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ জানান, এলাকায় অষুধী বাগানের জন্য জায়গা পরিস্কার করা হচ্ছে। কিছু গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। চুনতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, রোসাইঙ্গা ঘোনা এলাকা হতে বড় আকারের কিছু গাছ কেটে নেওয়ার সংবাদ শুনেছেন। চুনতি ফরেষ্ট রেঞ্জ সূত্র জানান, কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে এব্যাপারে তিন জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এলাকার সচেতন মহলের মতে, গাছ কাটা ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। অন্যতায় এভাবে বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাবে অসাধু ব্যক্তিরা ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নুল আবেদীন জানান, সাতগড় বনবিটের পুরতান অফিস এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাদারট্রিসহ একাধিক গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন পদুয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শওকত ইমরান আরফাত জানান, সুফল প্রকল্পের আওতায় নতুনভাবে পুণঃরক্ষার জন্য বনায়ন করা হচ্ছে। লোকবল সংকটের কারণে বনবিভাগের লোকজন উপস্থিত না থাকায় হয়তো শ্রমিকরা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। কাজ তদারকির জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তাকে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হবে।
Leave a Reply